জেলা শহরের সিটি কলেজপাড়ায় ডাকাতিকালে গৃহিণীকে বেঁধে তার সামনে ওই বাড়িতে
আশ্রিতা এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে ডাকাতরা। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে জোর
করে বাড়ির মালিকের সঙ্গে ওই কিশোরীর নগ্ন ছবিও তুলেছে তারা। এসময় নগদ টাকা ও
সোনার গহনা লুটপাট করেছে ডাকাতরা।
শহরের সিটি কলেজপাড়ায় ফজলুল হক বাবুর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। লজ্জা ঢাকতে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ফজলুল হক বাবু জানান, শুক্রবার তারাবিহ শেষে বাড়ি ফিরে কলিং বেল চাপলে ভেতর থেকে পুরুষকণ্ঠ শুনে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, শহরের নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়ার ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ ইব্রাহিম, একই এলাকার রানা, ইলিয়াস সাজু ওরফে বাদশাসহ ৭ জন তার বাসায় অবস্থান করছে। এদের ১ জন তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে সোফার ওপর বসিয়ে পরনের পাঞ্জাবি খুলে ফেলে। এরপর তার বাসায় আশ্রিতা ওই কিশোরীকে নগ্ন করে বেশ কয়েকটা ছবি তোলে।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় তাকে হুমকি দিয়ে যায়, এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলা হবে। এসব ঘটনার পর মেয়েটি লজ্জা-অপমানে শনিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ফজলুল হকের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, দুর্বৃত্ত দলটি বাসার কলিং বেল চাপলে আমার মেয়ে ফারিয়া দরজা খুলে দেয়। এরপর তারা ঘরে ঢুকে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে বাদশা ও ইব্রাহিম আমার বাসায় আশ্রিতা ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষক বাদশা স্থানীয় ১টি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক পরিচয়ধারী।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা এরপর আলমারি খুলে নগদ ২৭ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, আমার কানে থাকা সোনার ঝুমকা, নাকফুল, আমার স্বামীর পাসপোর্ট ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ হাজার টাকা তুলে নেয়।
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মিরাজ মোসাদ্দেক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। আত্মহত্যার চেষ্টা করায় ফজলুল হক ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে তাকে থানায় নেয়া হয়। আবার সেখান থেকে পুলিশ হেফাজতে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় মেয়েটিকে। হাসপাতালে কর্তব্যরত সেবিকারা মেয়েটির ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আককাছ আলী জানান, খবর শুনে তিনি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ভর্তি করিয়েছেন। ঘটনার শিকার মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন, তাদের আটক করা হবে। ধর্ষক ও ডাকাতদের আটকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে এবং রাতে তরিকুল নামে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার ব্যাপারে এখনও থানায় মামলা হয়নি।
শহরের সিটি কলেজপাড়ায় ফজলুল হক বাবুর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। লজ্জা ঢাকতে ওই কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ফজলুল হক বাবু জানান, শুক্রবার তারাবিহ শেষে বাড়ি ফিরে কলিং বেল চাপলে ভেতর থেকে পুরুষকণ্ঠ শুনে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি বাসার ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, শহরের নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়ার ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’ ইব্রাহিম, একই এলাকার রানা, ইলিয়াস সাজু ওরফে বাদশাসহ ৭ জন তার বাসায় অবস্থান করছে। এদের ১ জন তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে সোফার ওপর বসিয়ে পরনের পাঞ্জাবি খুলে ফেলে। এরপর তার বাসায় আশ্রিতা ওই কিশোরীকে নগ্ন করে বেশ কয়েকটা ছবি তোলে।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় তাকে হুমকি দিয়ে যায়, এ ঘটনা কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলা হবে। এসব ঘটনার পর মেয়েটি লজ্জা-অপমানে শনিবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
ফজলুল হকের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, দুর্বৃত্ত দলটি বাসার কলিং বেল চাপলে আমার মেয়ে ফারিয়া দরজা খুলে দেয়। এরপর তারা ঘরে ঢুকে আমার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে বাদশা ও ইব্রাহিম আমার বাসায় আশ্রিতা ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষক বাদশা স্থানীয় ১টি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক পরিচয়ধারী।
তিনি আরও জানান, দুর্বৃত্তরা এরপর আলমারি খুলে নগদ ২৭ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, আমার কানে থাকা সোনার ঝুমকা, নাকফুল, আমার স্বামীর পাসপোর্ট ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮ হাজার টাকা তুলে নেয়।
কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মিরাজ মোসাদ্দেক ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। আত্মহত্যার চেষ্টা করায় ফজলুল হক ধর্ষিতা কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। পরে তাকে থানায় নেয়া হয়। আবার সেখান থেকে পুলিশ হেফাজতে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় মেয়েটিকে। হাসপাতালে কর্তব্যরত সেবিকারা মেয়েটির ধর্ষণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।
যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আককাছ আলী জানান, খবর শুনে তিনি ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ভর্তি করিয়েছেন। ঘটনার শিকার মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন, তাদের আটক করা হবে। ধর্ষক ও ডাকাতদের আটকে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে এবং রাতে তরিকুল নামে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার ব্যাপারে এখনও থানায় মামলা হয়নি।
No comments:
Post a Comment